দুর্গাপূজা উপলক্ষে বন্ধের নোটিশ আখেরী চাহার সোম্বা শুভ জন্মাষ্টমী ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বিদ্যালয় বন্ধ প্রসঙ্গে

Home

সভাপতির বাণী

মুহাঃ আবুল মনসুর (উপজেলা নির্বাহী অফিসার)

সভাপতি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি ততবেশি উন্নত। শিক্ষাই একটি জাতিকে সর্বাঙ্গীন সুন্দরভাবে গড়ে তোলার পথকে সুগম করে। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সুযোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই মানবতার মহান সেবা, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অত্র এলাকার বড় কান্দি গ্রামের কৃতি সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবি আবদুল খালেক তাঁর মাতৃশ্রদ্ধাবোধ ও মায়ের (আছমাতুননেছা) স্মরণে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ০৪ একর জমির উপর ০৬ জানুয়ারী ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে হায়দরনগর কলাকান্দি আছমাতুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়” টি প্রতিষ্ঠা করেন। অত্র বিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত সকলের নিরন্তর ও নিরলস শ্রমে আদর্শ সমাজ ও জাতি গঠণের জন্য শিক্ষা ও শিক্ষিত মানুষ গড়ে তোলার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিদ্যালয়টি আজ সফলতার সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হয়ে এগিয়ে চলেছে শীর্ষে আরোহণের লক্ষে। সবুজ প্রকৃতি ঘেরা অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি শুরু থেকেই তার সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সাবলীল কার্যক্রম দ্বারা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সুশীল সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাষ করি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এ বিদ্যালয়টি সুদক্ষ ও শিক্ষাবান্ধব পরিচালনা পর্ষদ, বিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ও সুসম্পর্কের সমন্বয়ের মাধ্যমে অচিরেই বিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে ইনশাল্লাহ। যার প্রমাণ বিগত কয়েক বছরের পাবলিক পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্য। আমি এ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

মোঃ ছিদ্দুকুর রহমান

প্রধান শিক্ষক

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক”- পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। – এ বাক্যের মাধ্যমে ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণের সূচনা হয়। ইসলামে জ্ঞানের গুরুত্ব এত বেশী যে, আল্লাহ পবিত্র কোরআন নাযিলের সূচনা করেছেন ‘ইকরা’ বা ‘পড়ুন” শব্দ যারা। মনুষত্ব্যের বিকাশ ঘটাতে এবং পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে উঠতে জ্ঞান চর্চা অপরিহার্য। জ্ঞানার্জন ছাত্র/ছাত্রীদেরকে আদর্শ চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। 

কর্তব্য পরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা, সততা, নৈতিকতাবোধ, সমাজের সকলের সাথে সদাচরণ, ভ্রাতৃত্ববোধ, নারীর প্রতি যথাযথ সম্মানজনক আচরণ, অন্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি উদার মনোভাব ও আচরণের মাধ্যমে সম্প্রীতি দৃঢ়করণ, অহিংসা, উদারতা, মহানুভবতা, মানবিকতা দেশপ্রেম ইত্যাদি গুণাবলী অর্জন লেখাপড়ার মাধ্যমেই সম্ভব। শিক্ষা মানুষকে পরিশীলিত করে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে নৈতিকতার চরম শিখরে উন্নীত করে তাকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করা। নৈতিকতাবোধ, সহজ সরল জীবন যাপন, সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভিন্ন মতের প্রতি চরম সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের এসব গুণাবলী অর্জন করে সত্যিকার মানুষে পরিণত করার এবং স্বপ্নদ্রষ্টা প্রতিষ্ঠাতা শহীদ বুদ্ধিজীবির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ নিয়েই অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারী মেঘনা নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী পিছিয়ে পড়া জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত বাঞ্ছারামপুর উপজেলাধীন ০২ নং পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়নে উত্তর হায়দরনগর মৌজায় প্রতিষ্ঠাতার পার্শ্ববর্তী কলাকান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন। আমি অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল খালেক সাহেবকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি; যার জন্ম না হলে হয়তো এই এলাকার মানুষ এত সহজে শিক্ষার আলো দেখতে পেত না। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সৃজনশীল পদ্ধতি ও বর্তমান অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কারিকুলাম-২০২১ অনুসরণের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চলছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে এমপিওভুক্ত ও খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১,০০০ (এক হাজার) শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের দিক থেকে ও অত্র বিদ্যালয়টি আল্লাহর রহমতে উপজেলায় অন্যতম সেরা বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুনাম ছিনিয়ে আনছে। বিদ্যালয়ের দক্ষ ও শিক্ষাবান্ধব ব্যবস্থাপনা পরিষদু বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন এবং আমার সাথে সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন সহকর্মীবৃন্দ দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে বিদ্যালয়টিকে আজকের এই মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পেশায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। আমি মনে করি এই বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার জন্য একটি জ্ঞানের প্রদীপ। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিদ্যালয়কে সমাজে, দেশে ও বিদেশের কাছে উঁচু আসনে তুলে ধরবে এই প্রত্যাশা করি এবং সকলের অব্যাহত সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।

আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিহাস

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবেশের উন্নয়নই অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারে। এ উপলব্ধি থেকে অত্র এলাকার পিছিয়ে যাওয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবেশকে উন্নয়নের লক্ষে পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ০৬ জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অর্ন্তগত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অধীন ০৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ০২ নং পাহাড়িয়া কান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামে অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, পাকিস্তান আমলে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি অত্র এলাকার স্বপ্নদ্রষ্টা জনাব আবদুল খালেক তাঁর মায়ের নামে (আছমাতুননেছা) ব্যক্তিগত অর্থে জমি ক্রয় করে প্রায় ০৪ একর জমির উপর এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রধান লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠাতার আহবানে সাড়া দিয়ে অত্র এলাকার সর্বসাধারনের সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মূলভবনের সামনে বিশাল এক দিঘী রয়েছে এবং উপজেলার অন্যতম বৃহৎ এক খেলার মাঠ রয়েছে, এই সব কিছুই প্রতিষ্ঠাতার নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে। বিদ্যালয়কে নিয়ে প্রতিষ্ঠাতার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ছিল। প্রতিষ্ঠাতার পরিকল্পনা ছিল বিদ্যালয়ের পার্শ্বে বিভিন্ন শিল্প-কারখান প্রতিষ্ঠা করা, যাতে অত্র বিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা এখানেই কাজ করতে পারে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু পাকিস্তানের কুখ্যাত দোষারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়; এর পর থেকে তিনি আর কোনদিনও বাসায় ফিরে আসেননি। তিনি একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী। আমাদের উপর তার লালিত স্বপ্ন অর্পন করে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাঁর স্বপ্ন লালন করে অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক- মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান তাঁর কর্মঠ, নিষ্ঠাবান, উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন সহকর্মীবৃন্দ এবং দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় অত্র বিদ্যালয়টির সুনাম উত্তরত্তর বৃদ্ধি করে চলেছেন।

haidernagar kolakandi asmatunnesa high school
haidernagar kolakandi asmatunnesa high school
Follow us on Facebook

School Event

Days
Hours
Minutes
Seconds

আমাদের সম্পর্কে মতামত